সন্দীপ ভট্টাচার্য, দুর্গাপুর :-একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুরের ট্রেড ইউনিয়নকে নিয়ে তার বিরক্তি প্রকাশ করার পরে অভিজিৎ ঘটকের পরিবর্তে,দুর্গাপুরের শ্রমিক সংগঠনের ব্যাপক রদবদলের জন্য তিনি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় কে দায়িত্বে নিয়ে আসেন । এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্বে আসার পর থেকেই তিনি তার যে নির্দিষ্ট কোর কমিটি গঠন করেন তার মাধ্যমে সমস্ত কলকারখানা গুলির শ্রমিক সংগঠন কে পরিচালনা করার কাজে যথেষ্ট গুরুত্ত দিয়ে নেমেছেন। তার কাছে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে ট্রেড ইউনিয়ন সংক্রান্ত। আর তিনি সরাসরি সেই সমস্ত অভিযোগ গুলোকে যেমন গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তেমনি বিভিন্ন বেনিয়মকে তিনি স্ট্রেট প্রশাসনিক তদন্তের মুখে ঠেলে দিয়ে স্বচ্ছ শ্রমিক সংগঠন করার দিকে বেশ কিছুটা এগিয়ে গেছেন।
আর এরকম ই বিভিন্ন আভিযোগ নেতাদের বিরুদ্ধে য়া এতদিন সাধারন মানুষ থেকে দলের কর্মীদের মনের ভেতরে ক্ষোভ এর সঞ্চার করেছিল তা সরাসরি তার কাছে পৌঁছানোর জন্য নির্দিষ্ট whatsapp নাম্বার তিনি চারদিকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন যাতে সাধারণ মানুষ থেকে শ্রমিক প্রত্যেকেই তাদের মনের কথা বা তাদের অভিযোগগুলি জানাতে পারবেন এই নাম্বারে । আজ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার গেটের বাইরে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিউসির দুর্গাপুর কমিটির পক্ষ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর এর নাম্বার এর মাধ্যমে সরাসরি অভিযোগ জানানোর জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারটির সাইন বোর্ড লাগানো হলো
এই হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারটি জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেবার সময়ে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইএনটিটিউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও শ্রমিক সংগঠন এর কোর কমিটির সদস্য ও শ্রমিক বৃন্দরা ।
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আমরা আজ থেকে শুরু করলাম whatsapp নাম্বারের মাধ্যমে সরাসরি মানুষের অভিযোগ শুনবার ও ক্ষতিয়ে দেখে ব্যাবস্থা গ্রহনের কাজ। প্রসঙ্গত কদিন আগে এই রকম ই অভিযোগের ভিত্তি তে দুজন শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে আভিযোগ জানানোর কথা বলেন। তিনি আজ বলেন প্রথমে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা থেকে শুরু হলো সাইন বোর্ড লাগানোর কাজ এরপরে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন কারখানায় লাগানো হবে এই রকম সাইন বোর্ড। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এবার দেখা যাক দুর্গাপুরের এত দিনের ট্রেড ইউনিয়ন গুলোর অসুখ সারে কিনা?
0 মন্তব্যসমূহ