পুলিশ কমিশনার এর সাংবাদিক বৈঠকের ২৪ ঘন্টার মধ্যে তদন্তে নামল সি আই ডি এমন ই তথ্য উঠে আসছে । কিন্তু গতকাল সন্ধ্যে বেলায় যাবতীয় অভিযোগ কে সঙ্গে নিয়ে শেষ মুহুর্তেও আবারো ফিরে আস্তে হলো মৃত সুতন্দ্রার পার্থিব শরীর নিয়ে তার আত্মীয় পরিজনদের । বেশ ক্রোধ আর একরাশ হতাশা প্রশাসনের উপরে ফুটে উঠল মৃতার মায়ের গলায়। দুর্গাপুর এর বিধাননগর হাসপাতাল থেকে মৃত সুতন্দ্রার দেহ বর্ধমান এর কিছুটা আগে পথ ঘুরে ফের হাজির হয় পানাগড় এর কাঁকশা থানার সামনে। মৃতার মা তনুশ্রী দেবী সকাল থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রশাসনের উপরে যার অন্যতম প্রশ্ন ছিলো বারবার পশ্চিমবাংলায় এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে? আর সূর্যাস্তের পরে বেশ অসন্তোষ নিয়ে তার বক্ত্যব্য কিছু একটা আড়াল করার চেষ্টা করছে পুলিশ। তার আরো বক্ত্যব্য যাদের উপরে অভিযোগ তাঁদের কে আটক না করে, জিজ্ঞাসাবাদ না করে উল্টে যারা অভিযোগ করেছে তাদের কেন আটকে জিজ্ঞাসাবাদ এর নামে হয়রান করছে পুলিশ? কিছু কি গোপন করতে চাইছে?
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট কিন্তু সাংবাদিক সম্মেলন এ য়ে বিষয়টির উপরে ফোকাস করেছে সেটি হলো অভিয়োগপত্রে "ইভটিজিং, উত্তক্ত বা অশ্লীলতার" কোন কথা না উল্লেখ করার বিষয়টি। আর সিসিটিভি ফুটেজ এ মৃতার গাড়িটি কে দেখা যায় অভিযুক্ত গাড়িটির পিছনে যেতে কিন্তু তাহলে ঠিক কি ঘটেছিল সেই ঘটনাকেই তুলে ধরতে চাইছে প্রশাসন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে য়ে বক্ত্যব্য প্রকাশ পায় মৃতার সঙ্গী দের "ইভটিজিং বা নারী সুরক্ষ্যা" সহ য়ে সব মারাত্মক অভিযোগ এর মতো বিষয়গুলি ঘোরা ফেরা করছে সেগুলো সত্য কিনা সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে। অথবা মৃতার মায়ের বয়ান অনুযায়ী কিছু একটা গোপন করার বিষয় টি কতটা যুক্তি যুক্ত সেটাও তদন্ত সাপেক্ষে উঠে আসবে, তবে পুলিশ প্রশাসন য়থেস্ট সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছে এই বিষয়ে । কিন্তু য়ে প্রশ্ন টি সব থেকে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে য়ে পানাগড় নিবাসী য়ে ব্যাক্তির নামে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন এর কথা শোনা যাচ্ছে সেই ব্যাক্তি বা সেই অভিযুক্ত গাড়িতে থাকা ব্যাক্তিদের সন্ধান এর বিষয়টি। আর এই সব নানান প্রশ্নের সামনে কিন্তু আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট য়ে সাবধানী ভূমিকা নিচ্ছে সেটি আজ সকালে সি আই ডি র তদন্ত কারী দলের পরিবেক্ষণ সেই দিকেই কি ইঙ্গিত করছে?
0 মন্তব্যসমূহ