গতকাল মধ্যরাত থেকে হুগলী জেলার নিবাসী নৃত্যশিল্পী ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এ কর্মরত আনুমানিক ২৭ বছর বয়সী মহিলার মৃত্যু ঘিরে চঞ্চল্য সৃষ্টি হয় পানাগড় শিল্প তালুকের কাঁকশা থানা এলাকায়। মৃতা মহিলার নাম সুতন্দ্রা চট্টপাধ্যায় তিনি একটি ইভেন্ট এর কাজের জন্যে ভিন রাজ্যে যাছিলেন।পথে বুদবুদ ও পানাগড় এর মধ্যে একটি অনভীপ্রেত ঘটনার সম্মুখীন হয়ে মৃত্যু ঘটে তার।
আর এই ঘটনায় বিরোধীদের সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে বক্ত্যব্য থেকে শাসক দলের নেতৃত্ব এর দুঃখজনক ঘটনা, প্রশাসনের প্রতি আস্থার সঙ্গে কুম্ভ মেলার মৃত্যু প্রসঙ্গ থেকে ব্যক্তি মানসিকতা সবই শুনলো সাধারণ মানুষ। মৃতা তরুণীর সঙ্গী দের অভিযোগ এর ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তের শুরু হলেও এখন অব্দি কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলেই সাংবাদিক সম্মেলনে আসানসোল দুর্গাপুর এর পুলিশ কমিশনার শ্রী সুনীল কুমার চৌধুরী জানান ।
য়ে গাড়িটির উপরে অভিযোগের তীর সেই গাড়িটি ও দুর্ঘটনায় মৃত মহিলা য়ে গাড়িতে ছিলেন দুটি গাড়িই আপাতত পুলিশি নজরদারিতে।
সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশের তরফে অভিযোগ কারীদের সংবাদ মাধ্যমের সামনে দেওয়া বযানের উল্টো কথা বলতে শোনা গেলেও দুটি গাড়ির মধ্যে য়ে একটি রেষারেষি চলছিল সেটি সিসিটিভি ফুটেজ ক্ষতিয়ে দেখে স্বীকার করা হয়। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার এর তরফ থেকে এই কথাও জানানো হয় য়ে অভিযোগকারীরা লিখিত বয়ানে "ইভতীজিং বা অশ্লীলতার" কথা জানান নি যেটি সংবাদ মাধ্যমের কাছে তারা বলেছেন ।
মৃতা তরুণীর মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায় মৃত মেয়ের দেহ আঁকড়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পরে ও প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার পরে রাতের পানাগড় এর নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়। প্রসঙ্গত ঘটনা সূত্রে জানা যায় বিগত আট মাস আগে মৃতার বাবা পরলোক গমন করেন। আর মাধ্যরাত্রে এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে গুঞ্জন ওঠে নারী নিরাপত্তা নিয়ে। মৃতা তরুণীর সঙ্গী দের অভিযোগ যদি সত্যি হয় তাহলে কাঁকশা থানা এলাকার ন্যাশনাল হাইওয়ে থেকে এলাকার সমগ্র জায়গা কি মহিলাদের জন্যে রাত্রি বেলা আদেও সুরক্ষিত নয় ?
পুলিশ প্রশাসন আজকের সাংবাদিক দের প্রশ্নের মুখে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর একপ্রকার এড়িয়ে গেলেও তারা কিন্তু "ইভটিজিং বা কোন অশ্লীলতার "এর কথা স্বীকার করেনি উল্টে পুলিশ য়ে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে সেখানে অভিয়োগকারীর গাড়ি অভিযুক্ত দের গাড়ির পেছনে উর্ধগতি তে পেরিয়ে যাবার একটি ভিডিও প্রকাশ করে। আর সেই ভিডিও তে কিন্তু পুলিশের দাবীকেই প্রমান করার দিকে ইঙ্গিত দেয়,কিন্তু প্রশ্ন থাকতেই পারে এই ঘটনার পরে কি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসবে রাত্রের পানাগড় এলাকায় ? কাকসা থানা এলাকায় রাত্রী বেলায় মহিলাদের সুরক্ষার বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন ? মৃতার সঙ্গীদের অভিযোগ য়ে গাড়িটি কে কেন্দ্র করে সেই গাড়িটি পানাগড় এর বাসিন্দা জনৈক বাবলু য়াদব এর নামে গাড়িটি রেজিস্ট্রেশন বলে অসমর্থিত সূত্রে শোনা গেলেও পুলিশি অনুসন্ধান এর পরে প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে জানানো হবে বলে জানান পুলিশ কমিশনার। অভিয়োগকারী সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে অভিযুক্তদের গাড়ির ভেতরে নেশার বস্তুর কথা বললেও এই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন সরাসরি স্বীকার না করে তদন্তের পরে বলবেন বলে জানান। এবার প্রশ্ন অনুসন্ধান তখনি সম্ভব যখন অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে? অভিযুক্তদের অন্তরালে চলে যাওয়া আর পুলিশ অভিয়োগকারীদের বয়াণের উল্টো যুক্তি বা বয়ান সব মিলিয়ে কি অনেক প্রশ্নের চিহ্নর সামনে পানাগড় কাণ্ড ?
0 মন্তব্যসমূহ