যত দিন যাচ্ছে দুর্গাপুর উৎসব ধীরে ধীরে মানুষের কাছে তার আগ্রহ হারিয়ে শুধুমাত্র একটি বিশেষ বিশেষ মানুষের শীতকালীন একটি সংগীতের মঞ্চে পরিণত হচ্ছে, আর সেই বিশেষ বিশেষ আসন গুলোও ফাঁকা থাকছে অনেক সময় । বেঙ্গল লেন্স তার আগের প্রতিবেদন এই বলেছিল য়ে লক্ষ্য প্রদীপ জ্বালিয়ে এই উৎসব এর য়ে নাম ছড়িয়ে ছিলো সেই লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের ভীড় কিন্তু নেই এবারে দেখা যাচ্ছে না,
আর যেটুকু সাধারণ মানুষ সেখানে সংগীতের ভালোবাসায় যাচ্ছে তারা এই কুয়াশা, ঠান্ডায় অবাক নয়নে দূরে ফাঁকা চেয়ার গুলো দেখছে অথবা আসনের অধিকার না পেয়ে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে নিজেদের অসহায় বোধ করে ফিরে আসছে। যার কিঞ্চিৎ ফলাফল কি আগামী পৌরসভা নির্বাচনে পড়তে পারে ?
যদি এই উৎসবের ব্যার্থতা ও মানুষের ক্ষোভে শাসক দলের আগামী পৌরসভা ভোটে ভোট বাক্সে প্রতিফলন দেখা যায় তার দায়ভার কে নেবেন ?
উৎসাহ প্রদানকারী দুর্গাপুর এর বাইরের হেভিওয়েট নেতারা কিংবা দুর্গাপুরের বনিক মহল অথবা শাসকের দুর্গাপুরের একমাত্র মন্ত্রী তথা বিধায়ক ? আর না তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা পান্ডবেশ্বর এর বিধায়ক?
এগুলো শুধুই কিছু অবুঝ মানুষের প্রশ্ন হতে পারে কারন রাজনীতি বিদ দের মতে অনেক কিছুই সাধারণ মানুষ দেখে ভোটের অঙ্ক করেন? আর তাই কি রাজনীতির জটিল সমীকরনে সেটি বুঝে আগেই এই উৎসব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি ? মূল মঞ্চের অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে কিন্তু কতজন দুর্গাপুরবাসী তার সম্প্রচার লিঙ্ক জানে ? বা য়ে দুর্গাপুরের বাইরের হেভিয়েট রাজনীতি বিদরা এই উৎসবের উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিলেন, বাহবা দিলেন এমন উৎসব এর য়ে উৎসবে আসা গরিব খেটে খাওয়া মেলার দোকানদার দের ঝাঁপ বন্ধ করতে হবার জোগাড় ক্রেতার অভাবে সেই বিষয়ে কে আসবেন সামনে তার দায়ভার নিতে ?
যদি মেলায় আসা ছোট ছোট ব্যাবসায়ীদের ক্ষতির পরিমান বাড়ে সেক্ষেত্রে দুর্গাপুর এর বনিক মহল য়ে উৎসব পরিচালনা করছেন তারা কি তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে দুর্গাপুর এর সুনাম বৃদ্ধি করতে এই মেলার জন্যে তাঁদের বারাদ্দ অর্থ কে ছাড় দেবেন? আর এই উৎসব যদি চূড়ান্ত ক্ষতি ও মানুষের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা হারায় তাহলে কে পরবর্তী কালে এর দায়িত্ব কে নেবেন?
0 মন্তব্যসমূহ