২৩ শে জুন বিজেপির বিধায়ক তথা মহিলা মোর্চার রাজ্য নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল দুর্গাপুর ছুটে এলেন তৃণমূল নেতার কুপ্রস্তাবে আত্মঘাতী হবার চেষ্টা করা এক মহিলার পাশে দাঁড়িয়ে তার প্রতিবাদকে ও তাঁকে সম্মান দিতে। এছাড়াও সেই অসুস্থ মহিলার হয়ে নিউ টাউনশিপ থানায় ধর্ণা, আন্দোলন এ সামিল হতে। ২৩ শে জুন
যখন তিনি দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সেই অসহায় মহিলার পাশে গুটি কয়েক সমর্থককে নিয়ে বিজেপির মাটি শক্ত করার চেষ্টা করচ্ছেন আর সেখানে তার দলের বিধায়ক ঘটনা স্থল থেকে অনতি দূরে দুর্গাপুর টাউনশিপ এর ৩১ নাম্বার বিদ্যাসাগর এভিনিউ এর এক কার্যলযে বিজেপির কিছু নেতা ও কর্মী কে নিয়ে চিন্তন বৈঠক করছেন। এটা কিসের চিন্তন? শাসক দলের নেতাদের বক্তব্য এটা শুভ চিন্তন না অশুভ চিন্তন সেই বিষয়ে বিরোধী দল বিজেপি ভালো বলতে পারবেন ? 



ভোটের রেজাল্টের পরে থেকেই লক্ষ্য করা যায় যে,ভোটের আগে প্রতিদিন সংবাদ শিরোনামে থাকা বিরোধী দলের এই বিধায়ককে সেই ভাবে আর ময়দানে লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। কিন্তু চা পে চর্চা তাঁর বিশেষ পছন্দ আর তাই দিলীপ বাবুর আসে পাশে তাঁকে ক্যামেরার সামনে বেশ দেখতে পাওয়া যায়। ১৩ ই মে ভোটের আগেও ১২ ই মে সন্ধ্যে অব্দি তাঁকে বেশ উজ্জীবিত দেখাচ্ছিল কিন্তু ৪ ঠা জুন এর পরে তাঁকে একটু অন্যরকম লাগছে।
আর আজ বেঙ্গল লেন্স এর তরফ থেকে যখন মাননীয়া বিধায়ক তথা রাজ্য মহিলা মোর্চার নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল কে প্রশ্ন করা হয় যে আপনার দলের বর্তমান বিধায়ক আজ এখানে নেই কেন তিনি কোথায়? তিনি একটু অস্বস্তি নিয়ে বলেন তার কাছে খবর যে সম্মানীয় বিধায়ক লক্ষন ঘোড়ুই মহাশয় রাজ্যের বাইরে গেছেন। রাজ্য নেত্রী তার দলের বিধায়কের অনুপস্থিত বিষয়টি জন সমক্ষে আড়াল করতে চাইলেও রাজ্যের শাসক দল দুর্গাপুর নেতৃত্বের তির্যক মন্তব্য বিরোধী দল যতই সংঘবদ্ধ দল হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করুক, দুর্গাপুর এর মানুষ জানে আসলে বিরোধী দলের বিধায়ক এর কাজের ভূমিকা । দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য সেক্ষেত্রে উনি যে বিধায়ক হয়েছেন সেটাও এক কালের তৃণমূল এর প্ৰাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ পরিয়াল এর প্রধান ভোটকুশলি প্রাক্তন বড়ো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর ব্যানার্জীর ভূমিকায় এমন টা মনে করে বর্তমান শাসক দলের একাংশ , আর এই প্ৰাক্তন তৃণমূল বড়ো চেয়ারম্যান যবে থেকে তৃণমূল এর প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ পরিয়াল এর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন সেদিন থেকেই পশ্চিম বিধানসভায় কোথাও একটা সমস্যা রয়ে গেছে বলেও অনুমান শাসক শিবিরের। শাসক দলের কোথাও এরকম গুঞ্জন যে ঘরের ছেলে তার অভিমান ভুলে ঘরে ফিরলে আগামী পৌর সভায় বেশ কয়েকটা ওয়ার্ড এর হিসাব হবে অন্যরকম কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ট চন্দ্রশেখর ব্যানার্জ্জী এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চায়নি।
২৩ সে জুন যখন রাজ্য মহিলা নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল দুর্গাপুরে এলে তার সঙ্গে ছায়ার মতো ঘুরতে দেখা যায় চন্দ্রশেখর ব্যানার্জ্জী ও অমিতাভ ব্যানার্জ্জী কে। কিন্তু কোথাও দেখা গেল না দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক,বিজেপির তরুণ নেতা পারিজাত সহ, বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ দত্ত , রূপম লাহা সহ বেশ কয়েক জন কে। সকাল ১১ টা বেঙ্গল লেন্স খবরের শিরোনামে থাকা তরুণ নেতা পারিজাত বাবু কে ফোন এ জিজ্ঞেস করা হয় যে আপনাদের নেত্রী কখন কোথায় থাকবেন বা এখন কোথায় আছেন? তখন পারিজাত বাবু বলেন খোঁজ নিয়ে জানাবেন? প্রশ্ন উঠতেই পারে যখন দলের রাজ্য নেতৃত্ব বার বার আসছেন কর্মীদের পাশে থাকার জন্যে তখন কোথাও কি স্বমন্বয় এর অভাব দেখা দিচ্ছে ? দুর্গাপুরে সহ পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে ভোট পরবর্তী সময়ে কখন দিলীপ ঘোষ মহাশয়, কখন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কখন রাজ্য মহিলা নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল কে দেখা যাচ্ছে কর্মী দের মধ্যে । আর ঘটনাক্রমে ২৩ তারিখ যখন একদিকে শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব বর্ধমানে আর অগ্নিমিত্রা পল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে তখন কি দুর্গাপুরে দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের কাছে বিশেষত যিনি বিধায়ক, জেলা সভাপতি এদের কারোর কাছেই কি কোন খবর ছিলনা রাজ্যের হেভিয়েট মহিলা নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল এর দুর্গাপুর আসার বিষয়টা ? অবশ্য এ বিষয়ে বিজেপি দলের দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষন চন্দ্র ঘোড়ুই মহাশয় বলেন মাননীয়া অগ্নিমিত্রা পল যে দুর্গাপুর আসবেন এবিষয়ে তিনি কিচ্ছু জানতেন না আর যখন তিনি দুর্গাপুর আসেন সেই সময় তিনি আগামী পৌরসভা নির্বাচন এর বিষয়ে চিন্তন বৈঠক করছিলেন। তিনি এও জানান যে অগ্নিমিত্রা পল তাঁকে দু বার ফোন করেছিলেন কিন্তু তিনি ফোন ধরতে পারেননি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কোথাও কি কোন বিভাজন তৈরী হচ্ছে না সবটাই নিছকই ঘটনা ?
এই প্রশ্ন উঠছে বিধায়কের কথায় যদি মাননীয় বিধায়ক আগে কিছু জানতেনি না তবুও যখন রাজ্যের মহিলা মোর্চার একজন নেত্রী ও বিধায়িকা দুর্গাপুর এর একটি জ্বলন্ত বিষয় কে নিয়ে থানার সামনে রাস্তায় বসে পড়েন আর উল্টো দিকে বিক্ষোভ ও কালো পতাকা দেখান শাসক দল সমর্থন কারী কিছু মানুষ। তখন কি বিজেপি শাসক দলের পদে আসীন ব্যাক্তিদের রাজ্য নেত্রীর পাশে থাকা বেশি দৃষ্টি সুলভ ছিলো না ? যতদূর সম্ভব 31 নাম্বার বিদ্যাসাগর এভিনুয় থেকে নিউ টাউনশিপ থানার দূরত্ব খুব বেশি নয়।
0 মন্তব্যসমূহ