জননেতা তিনি আর তাই সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে তার যাতায়াত সাবলীল আর ঠিক তাই তার জন্মদিনের বিশেষ মুহূর্তকে ভালোবাসায় আশীর্বাদে আনন্দে ভরিয়ে দিল তার অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
সকালটা শুরু হয়েছিল তারাপীঠ মন্দিরে মা তারার পূজো দিয়ে আর রাত্রিবেলা শেষ হলো জেলা পার্টি অফিসে। তার জন্মদিন পালন হলো গোটা জেলা জুড়ে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ভালবাসায়।আর এই স্বতঃস্ফূর্ততা বুঝিয়ে দিল তার গ্রহণযোগ্যতা ও চাহিদা মানুষের কাছে কতখানি।
পরিশ্রম তার জীবনে মূল মন্ত্র বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকের সাড়ে ৮০০ কিমি রাস্তা অতিক্রম করেও তার মানুষের জন্য মুখে হাসি নিয়ে সবার অভিবাদন গ্রহণ করা এক অভূতপূর্ব ঘটনা।
পুরো দিনের প্রতিটা জায়গায় প্রতিটা মুহূর্তে মানুষ রাস্তা দু'ধারে দাঁড়িয়ে থেকেছেন তার জন্মদিন পালন করার জন্য কিন্তু ব্যতিক্রম হয়ে উঠলো আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বিধায়কের জন্মদিন পালন
পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের লক্ষ্মী মুর্মু, বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী র সান্নিধ্যে আপ্লুত হয়ে, তিনি অনুরোধ করেন বিধায়কের জন্মদিন পালন করবেন তার বাড়িতেই। যেমন কথা তেমন কাজ, বিধায়ককে নিজের বাড়ির দাওয়াই বসিয়ে খাওয়ালেন জন্মদিনের পায়েস। এটাই তার পরিতৃপ্তি। স্বভাবতই লক্ষ্মী মুর্মু একগাল হাসি নিয়ে বললেন, জীবনে ভাবিনি দাদা আমার বাড়িতে বসে খাবার খাবেন। দাদা আমাদের কাছে ভগবান। দাদার প্রতিটি সুখ দুঃখে আমরা এভাবেই পাশে থাকতে চাই। বিধায়ক বলেন, বড় হোটেলের করতালির মধ্যে দিয়ে কেক কাটার চেয়ে এই লক্ষ্মীদি দের বাড়িতে আদিবাসী নাচ-গানের মধ্য দিয়ে আবেগে ভাষার আনন্দটাই আলাদা।
রাত্রি যখন প্রায় সাড়ে বারোটা থেকে একটা তখনও তার জেলা পার্টি অফিসের চত্বরে তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার জন্য কেক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দাদা তখন কেক কাটবেন।
রাত্রে নটার সময় যখন তিনি জেলা পার্টি অফিস পৌঁছালেন তখন আলোর রোশনায় তার জন্মদিন হয়ে উঠলো এক অন্য মাত্রায়। দাদা আপনি ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবার মুখে তখন একটায় লাইন উচ্চসরে ভেসে আসছে ।
জেলা পার্টি অফিসে তার অগণিত ভক্ত থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা কাউন্সিলার, তৃণমূল নেতা পঙ্কজ রায় সরকার সহ প্রত্যেকে তাঁদের প্ৰিয় নেতা তাঁদের জেলা সভাপতি থেকে একান্ত আপন দাদার জন্মদিনের রাত্রী করে তুললেন এক অনন্য ভাবে।
0 মন্তব্যসমূহ