পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সাব জানিয়ে দিলেন যে তৃণমূলে জামা পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় বড় ডায়লগ লিখলে সব কিছু হয়না। দলের দরকারের সময় দল কে বিপদে ফেলে এমন দু একজন কে শায়েস্তা করতে বেশী সময় লাগে না। প্রসঙ্গত ২০২৬ এ বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি শ্রী নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সংগঠনের দিকে নজর দিয়েছেন, বুথে বুথে তিনি ঘুরছেন ও ভোটার তালিকা সংশোধন এর কাজ এ নজর রাখছেন।
আর বরাবরই সংগঠনের একদম তৃণমূল স্তর থেকে কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে মিশে যাওয়া এই জেলা সভাপতি ভালো করে জানেন যে কে দলের পাশে রয়েছেন এবং কে কিভাবে দলকে বিপদে ফেলছেন। বিরোধী শিবিরে বিজেপির দুর্গাপুরের নেতাদের অবশ্য বক্ত্যব্য য়ে শাসক দলের জেলা সভাপতি কি ভয় পাচ্ছেন দলের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী কোন্দলে? কিন্তু তৃণমূল এর জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী যবে থেকে পশ্চিম বর্ধমানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন তারপরেই কিন্তু গোষ্ঠী কোন্দল অনেকটায় কম দেখা যাছিল জেলা জুড়ে এমন ই মতামত তৃণমূল এর কিছু বুথ কর্মী থেকে সমর্থকদের। কিন্তু এবার প্রশ্ন উঠছে তালে কি কোথাও আবার সেই তৃণমূল এর জামা পড়া দু একজন নিজ স্বার্থে দলের ক্ষতি করলেও জেলা সভাপতি তাঁদের সময় ও সুযোগ দিছেন কেন?
যেখানে বিগত লোকসভা নির্বাচনে জেলা সভাপতি প্রায় একার কাঁধে দুটি লোকসভা আসনকে জয়লাভের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। বর্ধমান দুর্গাপুর আসনে বিজেপির দিলীপ ঘোষের মতন হেভিওয়েটকে হারিয়ে সাংসদ কীর্তি আজাদকে এগিয়ে দেন ও আসানসোল আসনে পদ্ম শিবিরের এস এস আলুবালিহা কে হারিয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা কে জয়লাভ করান তার সুচারু রাজনৈতিক পরিচালনায় আর উল্টোদিকে যেখানে জেলার মন্ত্রীর বিধানসভা সভা আসনে জয়ের মার্জিন য়থেস্ট কম হলেও তিনি তার বিধানসভা এলাকা থেকে জয়ের অঙ্ক টা অনেক টা এগিয়ে দেন।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি তে প্রশ্ন উঠছে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে থাকা দু একজন কি তাঁকে শুধুমাত্র পান্ডবেশ্বর এর বিধায়ক এই গন্ডি তে বেঁধে দেবেন না আগামী সময় তাঁকে জেলা সভাপতি হিসাবেই পাবে?
0 মন্তব্যসমূহ