দুর্গাপুরে দুর্গা পুজো কার্নিভাল কে নিষ্কলুষ রাখার ও নিজেদের নিরপেক্ষতাকে সামনে রাখার চেষ্টা করল কার্নিভাল কমিটি আর দুর্গাপুরের মানুষদের রায় নিতে আত্মপ্রকাশ ভোটিং অ্যাপ আর কিউআর কোড এর যা এক কথায় এই প্রথমবার মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।
কিন্তু সেই কমিটিরই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মানুষের রায়কে নাস্যাৎ করে নিজেদের 'লুকানো' বিচারকদের রায়কে সামনে রেখে পুরস্কৃত করা হলো দুর্গাপুরের বেশ কিছু পুজো কমিটিকে। কিন্তু ভিউয়ার্স চয়েস পর্বে পুরস্কার পেল শঙ্করপুর সার্বজনীন,আর কমিটির 'লুকানো ' বিচারকদের পরিচয় গোপন রাখতে অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার মহাশয়ের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ভাষণেও নাম এলো না বিচারকদের বা বিচারকদের সম্মানিত করার কোন প্রক্রিয়া ও দেখা গেল না । অথচ এই অ্যাপের সাফল্য এতটাই যে মন্ত্রী থেকে উপস্থিত বিশিষ্টজন সহ সমগ্র এই কার্নিভাল কমিটির প্রত্যেকে যথেষ্ট উচ্ছ্বাসিত, আর রমাপ্রসাদ হালদারের নেতৃত্বে যে সংস্থা এই অ্যাপ বানিয়েছে তাদেরকে মঞ্চ থেকে স্বীকৃতি বা পুরস্কৃত করা হলো। কিন্তু এবছরের বিচারক কারা সেটা জানা যায়নি বা জানানো হয়নি। কিন্তু সেটা কেন ? হতে পারে যে বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার উদ্যেশে ? অথবা বিরোধীদের প্রশ্ন থাকতে পারে যে শ্রেষ্ঠতের বিচার কার্নিভাল এ উপস্থাপনার উপরে করা হলো ? না বিগত দিনে মন্ডপ পরিদর্শন করে সেখানকার সমগ্র দিক বিচার করে করা হয়েছে ?
পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক শ্রী প্রদীপ মজুমদার দুর্গাপুরে দুর্গাপূজা কার্নিভাল এর প্রথম সারির উদ্যোক্তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।তারই প্রচেষ্টায় দুর্গাপুরের দুর্গা পুজো কার্নিভাল এর সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তারই প্ৰিয় দুর্গাপুর এর শঙ্করপুর পুজো পেলোনা বিচারক দের কোন স্বীকৃতি, য়া পেল তা হলো জনতার জয়ধ্বনি ।
আর এই বিষয়ে মাননীয় মন্ত্রী শ্রী প্রদীপ মজুমদার মহাশয় কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান "এ বছর দুর্গাপূজো কার্নিভালের বিচারককে তা তিনি জানেন না, বিচারক কে হবে সেই নিয়ে কোন আলোচনা তার সঙ্গে করাও হয়নি। এমনকি পুজো উদ্যোক্তারা বা পুজো কমিটিরাও জানতেন না বিচারক কে ? এবছর বিচারকের নাম এবং বিচারকদের কে নিযুক্ত করেছেন স্বয়ং সরকার।অনেকেই বলছে শঙ্করপুর পঞ্চায়েত এলাকার পুজো কিন্তু আমি তো পঞ্চায়েত মন্ত্রী আমার তো ভালোই লাগতো যদি শঙ্করপুর বিজয়ী হতো কিন্তু সেটা তো হয়না বিচারকরা তাঁদের পরিমাপে বিচার করেন কে শ্রেষ্ঠ তাই আমরা খুশি যেই পুরস্কার পাক সেতো দুর্গাপূর এরই একটি পুজো। উনি বলেন মহাকুমা শাসক বা তার টীম হয়তো জানতে পারে কিন্তু উনি বা অন্য কেউ জানেন না, আর তাই ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে বিচারকদের নামে কোন কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেননি,মন্ত্রী মহাশয় বেঙ্গল লেন্স কে জানান যে এই নাম অজ্ঞাত রাখতে চায় কারন বিচারক রাতো সম্পূর্ণ আলাদা তারা কোন পুজো মণ্ডপে ঘোরেন নি, বিচারকরা কার্নিভালএর উপস্থাপনার উপরে বিচার করেছেন। গত বছর জেলা শাসক মন্ত্রী মহাশয় কে বিচারক দের নাম ঘোষণার জন্যে বলেছিলেন সেই জন্যে ঘোষণা করা হয়েছিল কিন্তু এই বছর এরকম প্রস্তাব আসেনি বা বলা হয় নি,তাই এই বিষয়ে কোন আগ্রহ নেই ওনার ।।" এবছর দুর্গাপুজোর দুর্গাপুর কার্নিভাল থেকে কিন্তু জনতার রায় গেছে শংকরপুর সার্বজনীন এর দিকে ।
এছাড়া জনতার রায় গেছে ফুলঝোড় এর দিকেও।স্বভাবতই পূজো উদ্যক্তাদের মন খারাপ হলেও, গর্বে বুক ফুলে যাচ্ছে শঙ্করপুর পূজা কমিটির কারণ জনতার রায় বলে দিয়েছে যে পান্ডবশ্বর ব্লকের শংকরপুরই সেরার সেরা। প্রশ্ন উঠছে যেখানে ভোটিং অ্যাপে ৪৫ হাজার মানুষের ভোটদান প্রক্রিয়া হয়েছে, যেখানে মানুষের রায় সর্বোচ্চভাবে শংকরপুরের দিকে যাচ্ছে সেখানে কেন তারা প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় সারিতে জায়গা করে নিতে পারল না বিচারকদের বিচারে ? সাধারণ মানুষের পছন্দ কি তালে জায়গা করতে পারলনা বিচারক দের মনে ? কিন্তু সব থেকে বড় জিজ্ঞাসা বা কৌতূহলের বিষয় বিচারক কারা ?
0 মন্তব্যসমূহ