BREAKING NEWS

6/recent/ticker-posts

বীরভূমের খরুন পঞ্চায়েত কি জাগ্রত নিদ্রার ঘুমে আচ্ছন্ন ? পর্ব -১

পশ্চিমবঙ্গ এর বর্তমান পরিস্থিতে যখন সরকার তার ভাবমূর্তি ফেরাতে বদ্ধপরিকর, যেখানে মাস্টার মহাশয় এর মতো এক নেতৃত্বএর  ছাত্রছায়া তে দল চলছে সেখানে বিগত ২০ বছরের অধিকাংশ সময় খরুন পঞ্চায়েত এর খরুন গ্রামের ২ টি আসন এর একটি তে বিজেপি তার আধিপত্য বজায় রেখে আসছে কি ভাবে ? কোথাও কি সেটিং ? কোথাও কি প্রতিবাদ এর ভাষা মানুষের কান অব্দি পৌঁছেচ্ছে না ? এগুলো সবই প্রশ্ন ? কেন রাজখন্ড থেকে তৃণমূল লিড নিচ্ছে আর খরুন থেকে পেছিয়ে যাচ্ছে ?  ২০২৪ সালে কেমন আছে খরুন পঞ্চায়েত এর খরুন গ্রাম সেই খবর নিযে বেঙ্গল লেন্স এর অনুসন্ধান। প্রথমেই যে বিষয়টি সাম্প্রতিক কালে পঞ্চায়েত এর সর্বাধিক নজরদারির মধ্যে থাকে সেটি হলো এই বর্ষাই ডেঙ্গু, ম্যালারিয়া, সাপের কামড়ে মৃত্যু ও সেখানে পঞ্চায়েত এর ভূমিকা কি ?  এই সব বিষয় গুলি গ্রাম বাংলায় এক প্রধান সমস্যা আর তার মধ্যে বর্ষা পড়তেই গ্রামের মানুষ চাষের কাজে বাস্ত্ হয়ে পড়েন। কিন্তু সাধারণ মানুষের ট্যাক্সর টাকায় চলা পঞ্চায়েত কি তার কাজ সঠিক ভাবে করছে ? না কিছু দালাল রাজ তাঁদের সিডিকেট কে এক কর্পোরেট স্টাইলে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ? গ্রাম পঞ্চায়েত এর প্রধান কে পরিচালনা করা আপ্ত সহায়ক দের ভূমিকা কি ? সঠিক সময়ে কি প্রধান, আপ্ত সহায়ক বা পঞ্চায়েত কর্মচারী কে মানুষ তাঁদের পাশে পাচ্ছেন? অথবা কোন কাজের বিনিময়ে চলছে কি কোন অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমরা খরুন পঞ্চায়েত এর বিভিন্ন জায়গার মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ সামনে পেয়েছি । তার মধ্যে পরিষ্কার পারিছন্নতার দিক দিয়ে কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ এর আঙ্গুল শাসক দলের পরিচালিত পঞ্চায়েত এর দিকেই। এমনি এক বিরোধী আওয়াজ বামফ্রন্ট এর সময় কালে জেলা পরিষদের কর্মাদক্ষ এর পদে আসীন থাকা সন্তোষ কর্মকার বলেন যে অনেক দুর্নীতির আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে এই পঞ্চায়েত। ডোবা বা গোরে ধরণের জলাশয় ধীরে ধীরে বুজে যাচ্ছে অথবা এগুলো সংস্কার এর দিকে অনীহা দেখা যাচ্ছে । রাস্তার কাজে বেনিয়ম, শাসক দলের ঘনিষ্ট দের সুযোগ সুবিধা দেওয়া এরকম একাধিক অভিযোগ শোনা যায় বলে তিনি জানান। তিনি অভিযোগ করেন পঞ্চায়েত এর শাসক দলের ঘনিস্ট একই বাড়ির কেউ বিজেপি,কেউ তৃণমূল এক চক্রবহু তৈরী করে আরাজকতা সৃষ্টি হচ্ছে। সাম্প্রতিক কালের রাস্তার বেনিয়ম নিয়ে তিনি প্রতিবাদ করলে তার উপরে আক্রোশ নেমে আসে।ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে পঞ্চায়েত এর ভূমিকায় তিনি অসন্তুষ্ট তার বক্ত্যব্য ঠিক মতো পরিষেবা পাচ্ছেন না তার উপরে প্রতিবাদ করলে জোটে আক্রোশ।
কিন্তু এবিষয়ে তৃণমূল এর বর্তমান এই এলাকার দায়িত্বে থাকা মহাদেব সাহা মহাশয় বলেন এসব অভিযোগ মিথ্যা 
তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন বিরোধীদের এই অভিযোগ ভিত্তি হীন। 
আপ্ত সহায়ক বা অফিস স্টাফ দের এর দেরিতে পঞ্চায়েত আসা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এরকম অভিযোগ নেই আপ্ত সহায়ক বর্তমানে অসুস্থ থাকার জন্যে একটু দেরি হচ্ছে ওনার কিন্তু তাছাড়া কোন সমস্যা নেই। আর ডেঙ্গু প্রতিরোধ এ পঞ্চায়েত এর নিজস্ব টিম কাজ করছে। সাম্প্রতিক কালের রাস্তার বিষয়ে উনি বলেন যে রাস্তার নিয়ে অভিযোগ সেটা তে পঞ্চায়েত এর কোন ভূমিকা নেই এটা রাজ্য ও ব্লক থেকে কম্বাইন কাজ। 'পথশ্রী'। এখানে পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত প্রধান এর ভুমিকা হীন এবিষয়ে বিডিও ও প্রশাসনিক কর্তারা সরোজমিনে দেখে যেটি পুনরায় সরিয়ে দেবার সেটি করেছেন। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে বিরোধীরা।গ্রাম পঞ্চায়েত এর প্রধান মাননীয়া সুমিত্রা লেট মহাশয়া কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি শুধু বলেন যে তিনি দেখছেন, তিনি এও বলেন যে তিনি প্রধান হলেও বিষয় গুলি তার স্বামী দেখেন কিন্তু তার স্বামী যিনি তৃণমূল কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত তিনি জানান সব কাজ চলছে এরকম কোন অভিযোগ নেই। তিনি বলেন এলাকায় প্রতিনিয়ত চুন, ব্লিচিং ছাড়ানো ছাড়াও মশা নিরোধক স্প্রে করা হয়। কিন্তু খরুন গ্রামের খরুন ও রাজখন্ডা এই দুটি পার্টের মধ্যে খরুন পার্টে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত জন প্রতিনিধি শ্যামলী রায় জানান যে একই অভিযোগ তার পঞ্চায়েত এর বিরুদ্ধে ঠিক মতো আবর্জনা পরিষ্কার হচ্ছে না। দুর্গন্ধ ছাড়াচ্ছে তিনি বার বার জানালেও কোন কাজ হচ্ছে না। কিছু বললে কখন কাজ হয় কখন হয় না। 
আপনাদের এলাকার অভাব, অভিযোগ, দুর্নীতির খবর পাঠান আমাদের 9932257007 নাম্বারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ