BREAKING NEWS

6/recent/ticker-posts

গেরুয়া হোক বা সবুজ । গনতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবে আজ তারা অবহেলিত

অভি ভট্টাচার্য,বাঁকুড়া, বড়জোড়া:-
দিনটা মে মাসের 25 তারিখ 2024 গনতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব চলছে দেশ জুড়ে, ষষ্ঠ দফার লোকসভার ভোট বলে কথা । দেশজুড়ে কয়েক কোটি টাকার উৎসব হচ্ছে । নামিদামি সংবাদ মাধ্যম ,প্রিন্ট মিডিয়া থেকে ডিজিটাল প্লাটফর্ম জুড়ে শুধুই ব্রেকিং ফ্ল্যাশ প্রার্থী ভোট দিল, প্রার্থী সারাদিন কি করল, এই দল ওই দল মারামারি , হুমকি আরো কত কি ? 
আর যারা দেশের জন্য নীরবে করে গেছেন যাদের নাম বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন সময়ে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করেন । বলতে পারেন তাদের স্বশরীরে না পেয়ে নাম টাকেই ছাড়েন না । বাংলার কথা বলতে গিয়ে যারা বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দল গুলোর নেতা নেত্রী থেকে কর্মী সবার আইকন হয়ে ওঠেন সেই মনীষীরা বা দেশ নায়করা , তারা দেশের ষষ্ঠ দফার লোকসভার ভোটে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট প্রক্রিয়ার সাক্ষী রইল অবহেলায়,গলায় শুকনো ফুলের মালা নিয়ে । 
 হিন্দু ধর্মের ও সনাতন ধর্মের ঢাক বাজান গেরুয়া শিবির বলুন বা বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে আওয়াজ তোলা শাসক দল ই বলুন অথবা বামেদের যুব আইকন ইস্পিতা ধর কদিন আগেই বলেছেন য়ে বামপন্থিদের কাছে ধর্ম ও মন্ত্র মানে মানুষের কাজ করা ও সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন এই ধর্ম শিখিয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ। কি বলেছিলেন তিনি 
............"জীবে প্রেম করে য়েই জন ...............
..............সেই জন সেবিছে ঈশ্বর"..............
আচ্ছা গেরুয়া রঙ নিয়ে এত কথা আজ সমাজে। প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী  গেরুয়া বসনধারী সন্যাসীদের নিয়ে সব সময় আলাদা চিন্তা ভাবনা রাখেন কিন্তু তাদের কর্মী থেকে নেতানেত্রীরাঁ অথবা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তি থেকে শুরু করে ভোটের কাজে আসা স্কুল শিক্ষকরা কেউ কি একবারও দেখেও দেখলেন না গেরুয়া বসন ধারী স্বামী বিবেকানন্দ কে অথবা দেশের স্বাধীনতার কান্ডারী দেশ নায়ক সুভাষ চন্দ্র বোস কে সেও তো আজ সবুজ রঙে রঙিন হয়ে দেশের ষষ্ঠ দফার ভোট দেখলেন গলায় শুকনো গাদার মালা নিয়ে । 
স্বাধীনতার জন্য তিনি দেশ বাসীর কাছে বলেছিলেন 
    ..........তোমার আমায় রক্ত দাও.........
..........  আমি তোমায় স্বাধীনতা দেব .........
আর আজ ঘটা করে বছরে নেতাজি জয়ন্তী হয় একদিন জন্মদিন পালন হয় সেটাকি আন্তরিক 
সম্মান স্বরূপ ? না নিছকই একটা ছুটির দিন হিসাবে সে প্রশ্ন আজ উঠতেই পারে । 
ইলেকশন এর ডিআরসি সেন্টার সেখানে কর্ম্যয়োগ্য চলছে প্যাকেট প্যাকেট মিনারেল ওয়াটার থেকে খাবার দাবার কি নেই সুসজ্জিত গেট থেকে ভোটার দের জন্য প্যান্ডেল সবই হয়েছে। 
শুধু বাঙালি হিসাবে বাঙালিদের দুজন আদর্শ গলায় শুকনো ফুলের মালা নিয়ে নীরবে দেখেগেলেন গনতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব ।
তৃণমূল প্রার্থী এলেন নিজের মাটিতে নিজের বুথে ভোট দিতে উচ্ছসিত নিজের নামের বোতাম টি টিপে দেশের সর্বোচ্চ অধিকার প্রযোগে, কিন্তু যারা আজ এই দিনটাকে গনতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবের আঙ্গিনায় আনার পিছনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন বা বাঙ্গালী জাতি তথা দেশের গর্ব তাদের গলায় আজ একটা ফুলের মালাও জুটল না । 
সিপিএম, বিজেপি , তৃণমূল থেকে শুরু করে প্রশাসন বা ভোট ডিউটি করতে আসা শিক্ষক থেকে উপস্থিত শিক্ষিত সমাজ সবাই এলেন আবার কাজ শেষে চলেও গেলেন শুধু দাঁড়িয়ে রইল জাতির আদর্শ শুকনো ফুলের মালা নিয়ে ।রাজনৈতিক দল গুলোর  ভোটের দুপুরের মেনুতে কারোর ছিল  ভাত , ডাল, সব্জি থেকে চারাপনা কারোর ছিল মাংস বা বড় মাছ  খরচ অনেক কিন্তু ?????????
কয়েক পা দূরেই শাসক দলের বিধায়ক থেকে প্রার্থীর ঘর। আর শুধু শাসক দল ই বা কেন বিরোধী দলের গেরুয়া রঙের সনাতনী দাবিদার পদ্ম শিবিরের নেতা কর্মীরা সহ নেতাজি ও  বিবেকানন্দের আদর্শ কে সম্মান করা বামপন্থীরা একটু কি বিষয়টা চিন্তা করা যায় না আগামী দিনের জন্য ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ