সায়ন ভান্ডারী, বীরভূম --
জীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারাপীঠ রোড সংলগ্ন হাইওয়ের এলাকা। দুর্ঘটনা নিত্য দিনের সঙ্গী , প্রাণ কেড়েছে বহু স্থানীয় মানুষের , চোখের জলে 34 নাম্বার জাতীয় সড়ক ভিজলেও প্রশাসনিক ভাবে কোথাও কি উদাসীনতা লক্ষনীয় ? প্রশ্ন সাধারন মানুষের ? কেন বারবার একই এলাকায় হচ্ছে দুর্ঘটনার কারণে মানুষের জীবনের বলি ?
গতকাল রাত্রি এগারোটা নাগাদ কান্দুরি গ্রামের তিন যুবক এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার স্বীকার হলেন 34 নাম্বার জাতীয় সড়কের তারাপীঠ রোড সংলগ্ন জাতীয় সড়কে । পথিক লেট, সোমনাথ লেট ও ছোটন লেট নামে কান্দুরি গ্রামের এই তিন যুবক ব্যাক্তিগত কাজে ঘর থেকে বেরিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার স্বীকার হন । প্রসঙ্গত এই এলাকার মাল্লারপুর থেকে রামপুরহাট ও ঝাড়খণ্ড সীমান্তের মধ্যে ভারী পণ্য পরিবহনের মাধ্যম ডাম্পার এর দ্রুত গতির ফলে প্রায়শই জীবনহানির সংবাদ পাওয়া গেলেও প্রাসনিক তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে ? কেন এই গতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা ? কেনই বা পুলিশি নজরদারির ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রায়শই ?
দুর্ঘটনার পরে ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনার স্বীকার তিন যুবক কে পুলিশ রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে পথিক লেট কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা । কান্দুরি গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে । স্থানীয় মানুষের দাবী প্রশাসনিক নজরদারিতে যানবাহনের গতির নিয়ন্ত্রণ করা হোক ।
0 মন্তব্যসমূহ