২০০২ সালের ভোটার লিস্টের হার্ড কপি আছে এনাদের কাছে, এমন কি লোকসভা হোক বা বিধানসভা অথবা নগর নিগম নির্বাচন সব ভোটেই এরা অংশ নিয়েছে, ভোট দিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের পোর্টালে এরা আজ ব্রাত্য। রাতারাতি এদের নাম বাদ পড়ে গেছে অন লাইন পোর্টাল থেকে। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দুর্গাপুর পূর্বের বিজোন ভারতী এলাকার ৪১ জন বাসিন্দা আজ বুঝে উঠতে পারছেন না, কিভাবে নিজেদের নাগরিকত্ব তারা প্রমান করবেন। রাতের ঘুম উড়েছে এখন এই ৪১ জনের।শনিবার রাতে আতঙ্কর জট কাটাতে এরা তড়িঘড়ি ছুটে যায় দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস এর কাছে, মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেছেন চিন্তা করার কিছু নেই, একটা শুনানি হয়ে গেলে মিটবে যাবে সমস্যা। কিন্তু এই বৈধ ভোটারদের প্রশ্ন আসল নথি থাকা সত্ত্বেও কেন শুনানিতে যাবেন তারা? যদিও খুব তাড়াতাড়ি সমস্যা মেটার আশ্বাস দিয়েছেন দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস। এইদিকে এই ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনকে তুলোধোনা করেছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, ইচ্ছা করে এই বৈধ ভোটার দের নাম তালিকা থেকে বের করে দিয়েছে এই বক্তব্যে কমিশনের প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী । আর উল্টোদিকে তৃণমূল অহেতুক আতঙ্কের আবহ তৈরী করতে চাইছে এই বলে পাল্টা তোপ বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুইয়ের। কিন্তু প্রস্ন নিজ ভুমে কী আজ এরা পরবাসী ? আর লজ্জার এই ছবি কবে ঘুচবে কিভাবে মুছবে এসবই আজ লাখ টাকার প্রশ্ন।নির্বাচন কমিশনের বিএলও অন লাইন পোর্টালে এদের নাম খুঁজে না পেয়ে এস,আই,আরের ফর্ম ফিলাপ করাতে পারেনি তাঁরা। আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে দুর্গাপুরের বিজোনের ভারতী এলাকার এই ৪১ জন বৈধ ভোটারের।
0 মন্তব্যসমূহ