নিজস্ব প্রতিনিধি, দুর্গাপুর :-অভিযোগ বাংলায় বিজেপির 'তালিবানি' শাসন। গরুর গাড়ি আটকে হাতে দড়ি বেঁধে গাড়িতে থাকা বেশ কয়েকজনকে মারধর। তারপরেই কান ধরে উঠবস করানোর অভিযোগ বিজেপি নেতা পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায় সহ বেশ কিছু কর্মী সমর্থকের বিরুদ্ধে।
কোকওভেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তৃণমূল এর পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি বলেন বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁকুড়ার বড়জোড়ার হাট আশুরিয়া এলাকা থেকে একটি পিকআপ ভ্যানে করে দামোদর ব্যারেজ হয়ে দুর্গাপুরে ঢুকেছিল একটি গরু বোঝায় গাড়ি। তারপর দুর্গাপুরের গ্যামন ব্রিজ হয়ে জেমুয়া এলাকায় যাওয়ার কথা।
তখনই গ্যামন ব্রিজ এলাকায় বিজেপির যুবনেতা পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ওই গরু বোঝায় গাড়িটি আটকায়। ঘটনাস্থলে গাড়ির চালকের সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় দেখা যায়।
ঘটনা বিবরনে বিজেপি নেতা পারিজাত গাঙ্গুলী বলেন নিরীহ পশুগুলো কে য়ে আমানবিক ভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তারা এটা কোন ভাবে মেনে নেবেন না। এরপরে আটক গরুর পায়ে বাঁধন খুলে দিতেও দেখা যায়। আর যারা এই গরু গুলি নিয়ে যাছিলেন তাঁদের কে কান ধরে উঠবস করাতেও দেখা যায়। বিজেপি নেতা বলেন যারা গরু বোঝায় গাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন তারা বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি।
এই ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে যায় এলাকায়। পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল,"আমরা গরু বোঝাই গাড়িতে থাকা চালক ও খালাসির কাছে গরুর বৈধ কাগজ দেখতে চাই। ওঁরা দেখাতে পারিনি। সেই জন্য আমরা প্রতিবাদ করেছি। এইভাবে গরু পাচার দিনের পর দিন চলেই যাচ্ছে কিন্তু এর মাথা কে রয়েছে? সেটাই আমরা জানতে চাই" পাল্টা জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন,"হাট আশুড়িয়া হাট থেকে জেমুয়া এলাকার কিছু চাষী গরু নিয়ে আসছিল। কিন্তু তাদের থামিয়ে মারধর করে বেশ কিছু দুষ্কৃতি। প্রত্যক্ষ মদদ ছিল বিজেপির।
বাংলায় এরকম অত্যাচার কেন হবে? এইভাবে মারধোর কেন করা হবে? আমরা থানায় অভিযোগ করলাম। ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই ঘটনার সাথে যারা যুক্ত তাদের গ্রেফতারের দাবি করেছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না হলে আবার আমরা থানায় আসব।" কোক ওভেন থানা এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করছে।
0 মন্তব্যসমূহ