নিজস্ব প্রতিনিধি, দুর্গাপুর :- অভিযোগ ছিলো অবৈধ সম্পর্কের জেরে বৌদিকে খুন। ১৩ বছর পর দেওরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। রক্ত মাখা সেই রাত এখনও তাড়া করে বেড়ায় লাউদোহার লবনাপাড়ার মানুষকে। একজন মহিলা এক রাতে নিথর হয়ে গেছিলেন নিজের ঘরেই। সেই ঘর, যেখানে ছিল সংসার, ভালোবাসা আর বিশ্বাসঘাতকতা। ২০১২ সালের সেই ঘটনার রায় দান হয়। লিগ্যাল হেড এর আইনজীবি গোপাল কুন্ডু জানান বৌদি—দেওরের অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ ছিলো য়া প্রমাণিত নয়। সেদিনের ঘটনার কোন প্রত্যক্ষ দর্শী না থাকলেও ৭ জন সাক্ষী ও ঘটনার বিচার করে এই রায় দান করেছেন মহামান্য আদালত। সেই সময় মৃতার স্বামী রঞ্জিত মজুমদার ও দেওর সমীর মজুমদারের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিলো খুনের অভিযোগ। দুজনেই গ্রেপ্তার হন। শুরু হয় ১৩ বছরের দীর্ঘ বিচার পক্রিয়া। এতদিন পর, অবশেষে বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক ঘোষণা করেন বিচারের রায় । স্বামী রঞ্জিত মজুমদার বেকসুর খালাস , কিন্তু দেওর সমীর মজুমদার দোষী এই মর্মে তার বিরুদ্ধে ঘোষণা হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড । মেয়ের বাপের বাড়ির লোকেরা শোকে ভেঙে পড়লেও, এই রায়ে আজ তাঁদের খানিকটা স্বস্তি। দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের লিগ্যাল হেড এর আইনজীবী গোপাল কুন্ডু জানান,
“ ঘটনার সেই রাতে ওই মহিলা ও তার স্বামী দেওর সবাই তাঁদের বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন এবং তাঁদের দুজন আত্মীয় সেদিন এসেছিলো তাঁদের ঘরে । কে খুন করল কেউ দেখেনি। মাথা ফেটে রক্ত বেরোচ্ছিল। শুধু এটুকুই চোখে পড়ে। কিন্তু সম্পর্ক, পরিস্থিতি, সন্দেহ সবকিছু বিচার করে আদালত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।” এই মামলা টি লিগ্যাল হেডের এর তরফে সওয়াল জবাব করা হয়েছে এবং পরবর্তি কালে লিগ্যাল হেডের মাধ্যমে উচ্চ আদালতে আপিল করা হতে পারে অভিযুক্তর বিচারের জন্যে এই কথা জানান আইনজীবী গোপাল কুন্ডু।
0 মন্তব্যসমূহ