BREAKING NEWS

6/recent/ticker-posts

বিস্ফোরক বক্ত্যব্য ||হেল্থ মাফিয়া তত্ব?

হেলথ মাফিয়া তত্ত্ব সামনে আনলেন তৃণমূলের জনপ্রিয় যুব নেতাদের মধ্যে অন্যতম দেবাংশু ভট্টাচার্য আর এই নিয়ে বিস্ফোরক বক্ত্যব্য রাখলেন বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে । আজ সাগরভাঙ্গা, জোনাল সেন্টার সংলগ্ন অভিনন্দন লজে তিন নম্বর ব্লক এর বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, জেলা আই,এন,টি, টি ইউসি এর দায়িত্ব প্রাপ্ত অভিজিৎ ঘটক, মাননীয় উত্তম মুখার্জী,এস,বি,এস, টি,সি,র চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল,দীপু লাহা, শ্রীমতি লাভলী রায়, সুনীল চ্যাটার্জী, তিন নাম্বার ব্লক সভাপতি ভীম সেন মন্ডল সহ বেশ কিছু ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।আর সেখানেই মূলবক্তা তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য  তিনি তার বক্তব্য তে বলেন " জুনিয়ার ডাক্তার দের সামনে শ্রীখন্ডি রেখে কলকাঠি নাড়ছে বড় বড় মাথারা, আর এই মাথারা হলো প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক ও শেয়ার হোল্ডিং থাকা ডাক্তার বাবুরা।"তিনি বলেন মমতা ব্যানার্জ্জী র উপরে অনেক পুরানো রাগ। 'অভয়া' আন্দোলনের পেছনে বেসরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তাদের ছাড়াও বেসরকারি হাসপাতল গুলোতে কিছু শেয়ার হোল্ডার থাকা ডাক্তার দের উস্কানি  থাকার কথা তিনি বলেন । তিনি বলেন যে জুনিয়ার ডাক্তার দের সামনে রেখে আসলে কিছু সংখ্যক সিনিয়র ডাক্তার এই অভযার ঘটনা কে নিয়ে পুরানো রাগ তুলছেন কারন মমতা ব্যানার্জী এদের ব্যাবসায় লাগাম টানতে গিয়ে বেশ কিছু অপরাধ করেছে। যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন আজ সরকারের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন এর ইতিহাস এর কারন রয়েছে বিগত দিনে, ২০১৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন হাসপাতালের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন সেই সময়ে তিনি কিছু হাসপাতালের কর্মকর্তাদের অত্যাধিক বিল সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেছিলেন। এছাড়াও তিনি জেনারিক মেডিসিনের ওপরে জোর দিয়েছিলেন কারণ জেনারিক মেডিসিনের সুবিধা সাধারণ মানুষ পেলে তাদের অল্প খরচায় রোগ নিরাময় সম্ভব কিন্তু সেক্ষেত্রে কিছু সংখ্যক ডাক্তার বাবুদের যে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি থেকে  অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন হয় তা আটকে যাচ্ছিল । এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মতন প্রকল্প আনায় বিভিন্ন হাসপাতালের যে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে রোগের চিকিৎসা হত তা অনেকাংশে কম হয়ে যাওয়ায় সে বিষয়ে তাদের দীর্ঘদিনের রাগ আর সেই সুযোগটি অভয়াকাণ্ডের পরে তারা হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। কারন যে অপারেশন তারা দু লক্ষ নিত এখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে সেটি ৫০ হাজার। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব থেকে বড় অপরাধ সরকারি হাসপাতাল গুলিকে ঝা চকচকে রূপে রূপান্তরিত করার ফলে মানুষ ধীরে ধীরে সরকারি হাসপাতাল এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে যার ফলে বেসরকারি হাসপাতাল গুলির ব্যবসা ব্যাহত হচ্ছে। একটা সময়ে বামপন্থী দের সময়ে হাসপাতালে কুকুর বিড়াল ঘুরে বেড়াত কিন্তু এখন হাসপাতাল গুলো তে ঝা চকচকে রূপে আসায় সাধারণ মানুষের সরকারী চিকিৎসায় আস্থা ফিরছে যার ফলে বেসরকারি হাসপাতালের ব্যাবসার ক্ষতি হচ্ছে তাই এত রাগ এমনি ধরনের বক্ত্যব্য রাখেন দেবাংশু ভট্টাচার্য । এছাড়া তিনি বলেন আর যে সমস্ত সিনিয়র ডাক্তাররা এই আন্দোলনকে সমর্থন করছেন তাঁদের একটি বড় অংশ অনেক সময়ই সরকারি হাসপাতাল থেকে বেশি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। আর অন্যদিকে বাংলাদেশের সরকারের পতনের পরে ভারত সরকার কিছুদিনের জন্যে ভিসা বন্ধ রেখেছিল যার ফলে বাংলাদেশ থেকে আগত রুগীদের যে চিকিৎসা কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে হতো তা অনেকাংশে কম হয়ে গেছে। তাই সরকারী স্বাস্থ পরিকাঠামোকে একপ্রকার ভেঙে দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের দিকে যাতে রোগীদের পরিচালিত করা যায় এটা তার চক্রান্ত। তিনি আরো বলেন বিগত দিনে সিপিএমের সরকার যখন ছিল তখন জ্যোতি বাবু চিকিৎসকদের এইরকম আন্দোলনকেই পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে দিয়েছিলেন কিন্তু বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই পথে হাটেন নি। দেবাংশু ভট্টাচার্যের কথা কে যদি মান্যতা দেয় সরকার তালে এই প্রশ্ন উঠতেই পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কি স্বাস্থ্য মাফিয়াদের যে রাজ চলছে তা এক প্রকার মেনে নিচ্ছে? সেক্ষেত্রে  এই বিষয়ে একটা বড় প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই যায় ? সাধারণ মানুষ কি ভাবছে? তারা কি রায় দেবে সরকারের পক্ষ্যে না বিপক্ষ্যে ?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ